জেলায় কয়েকবারের শ্রেষ্ঠ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ দীর্ঘদিন থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় দুর্ভোগের শিকার রোগীরা।
দীর্ঘ দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন কোন অ্যাম্বুলেন্স চালক পদায়ন হয়নি। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গ্যারেজে দুটি ও খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
হাসপাতালে সরকারী তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকায় অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট মাইক্রো বা কার-এ রোগী পরিবহন করতে হচ্ছে। এতে রোগীর স্বজনেরা দুর্ভোগ আর লোকসানের শিকার হচ্ছেন।
জানা যায়, খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (পাকেরহাট)-এর সর্বশেষ অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রায় দেড় বছর আগে অনিয়মের দায়ে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার গাড়ি চালক মিলন রায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার’র গাড়ি না থাকায় তিনি কিছুদিন অ্যাম্বুলেন্স চালকের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার’র নতুন গাড়ি বরাদ্দ হওয়ায় মিলন রায় তাঁর মূল দায়িত্বে ফিরে আসেন। এতে চালক শূন্য হয়ে একটি নতুন ও দুইটি পুরাতন অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে।
দীর্ঘ দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন কোন অ্যাম্বুলেন্স চালক পদায়ন না হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গ্যারেজে দুটি ও খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে করোনাকালীন সময়ে নমুনা পৌঁছানোর কাজে নতুন অ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার গাড়ি চালক মিলন রায়।
পাকেরহাট গ্রামের মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুরুতর রোগীদের এখান থেকে স্থানান্তর করা হয় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থানান্তরিত রোগীদের পরিবহনের জন্য স্বজনদের ছুঁটতে হয় প্রাইভেট গাড়ির নিকট আর সুযোগ বুঝে প্রাইভেট গাড়িগুলো সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়। বিপদে পড়ে বেশী টাকা দিয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়মিত রোগী পরিবহন করে রোগীর স্বজনরা।
এ ব্যাপারে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমি যোগদানের পরেই অ্যাম্বুলেন্সের চালক নিয়োগের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এছাড়াও একাধিকবার মৌখিকভাবে তাদেরকে জানিয়েছি। দ্রুত সময়ে শূন্য পদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক পদায়ন হলে অত্র উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল