রংপুরের মিঠাপুকুরে শিশু গোলাম রব্বানী রাব্বীকে (৭) অপহরণ করেছিল তারই প্রতিবেশি দুই যুবক। শিশুটির বাব-মার কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল তারা। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় নৃশংসভাবে হত্যার পর বস্তায় ভরে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে দিয়েছিল খুনিরা। ৪দিন পর রাব্বীর লাশ ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় । এ ঘটনায় ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তারা পুলিশের কাছে রাব্বী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতার ওই দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বাদল মিয়ার ছেলে আল আমিন (১৬) এবং জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মহিদুল ইসলাম ওরফে মুশফিকুর (২৬)। দুই জনই নিহত শিশু রাব্বীর গ্রাম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোকর্নের বাসিন্দা। এদের মধ্যে আল আমিন বেকার ছেলে এবং মুশফিকুর মোবাইল টাওয়ার কোম্পানীতে চাকরি করতো। ব্যাটারি চুরির দায়ে বরখাস্ত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
মিঠাপুকুর থানার ওসি তদন্ত জাকির হোসেন বলেন, গ্রেফতর দুই জন গত বিকেলে চকলেট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর মুখে কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে একটি বস্তায় ভরে রাখে। অন্য লোক দিয়ে রাব্বীর বাবা-মার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু গরীব পরিবার টাকা দিতে না পারায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। শুক্রবার রাতের কোন এক সময়ে বস্তায় ভরা রাব্বীকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এরপর বস্তাবন্দী লাশ তার বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। তিনি আরো জানান, আলামিনের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল সিম উদ্ধার করা হয়েছে- যেগুলো দিয়ে সে বিভিন্নজনের সাথে যোগাযোগ করতো।উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোকর্ন গ্রামের রফিকুল ইসলামের শিশুপুত্র গোলাম রব্বানী রাব্বি (৭) শুক্রবার বিকেলে নিখোঁঁজ হয়। এর ৪দিন পর গত সোমবার সকালে বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসি। নিহতের মা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
