নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে শাহদাত হোসেন (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
তারা হলেন- উপজেলা নাওতলা গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে রিয়াদ উদ্দিন (২৪), সোনাইমুড়ী পৌরসভার সোনাইমুড়ী পূর্ব পাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন যুবরাজ (২৬)।
এদিকে আজ শুক্রবার সকালে নিহতের মা বাদী হয়ে ৬ জনকে বিবাদী করে সোনাইমুড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত শাহদাত হোসেন (১৫) সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাঁঠালি গ্রামের কাদির মাষ্টার বাড়ির মীর হোসেনের ছেলে এবং সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘরের আঙিনায় একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, শাহদাত হোসেনের মোবাইল ফোনে বুধবার সকাল ৯টার দিকে মোবাইল ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় একই বাড়ির জামালের ছেলে সুমন (২৮)। এরপর থেকে সাহাদাতকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘরের পিছনের পুকুরে ঝোপের মধ্যে শাহদাতের পরিধানের কাপড় ভাসতে দেখে ছোট বোন মারিয়া তার মা কে জানান। পরে কাপড় ধরে টান দিলেই ভেসে ওঠে সাহাদাতের লাশ। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মায়ের মামলার আলোকে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। আটক আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর