টেকনাফ পৌরসভা দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে রোহিঙ্গাদের কারণে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় প্রশাসন থেকে জন্ম নিবন্ধন সার্ভার খুলে দেওয়ার পর বুধবার থেকে অনলাইনের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজ্বী মোহাম্মদ ইসলাম জন্ম নিবন্ধন সনদে স্বাক্ষর প্রদানের পর এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ পৌরসভার সচিব মো. মহিউদ্দিন ফয়েজী, পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, মহিলা কাউন্সিলর নাজমা আলম, টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলমগীর, আওয়ামী লীগ নেতা হাজ্বী নুরুল আলম, সেবা গ্রহণকারী পৌরসভার নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের কারণে ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলায় জন্ম নিবন্ধনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন।
প্রায় ৩ বছর পর জম্মনিবন্ধন কার্যক্রম চালু হলে টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দাদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ পৌর মেয়র হাজ্বী মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, বিজয়ের মাসে পৌরবাসীর জন্য এটি আমার উপহার। টেকনাফ পৌরসভার দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম (০৯-ডিসেম্বর-২০) থেকে চালু করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, টেকনাফ পৌরসভা কার্যালয় সমূহে এখন থেকে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন স্থানীয় জনসাধারণ।
নিবন্ধন পাওয়ার প্রক্রিয়াঃ জন্মনিবন্ধনের জন্য প্রথমে পৌরসভার মেয়র বরাবর আবেদন করতে হবে। সেগুলো পৌরসভার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন যাচাই- বাছাই কমিটির কাছে উপস্থাপন করবে। যাচাই করে সঠিক প্রমাণ হলে পুণরায় অনুমোদন দিবে। তারপর আবেদনকারীর হাতে জন্মনিবন্ধন সনদ দিবে পৌর পরিষদ।
টেকনাফ পৌরসভার শক্তিশালী বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সব দিক বাছাই করে চূড়ান্ত করে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের নির্যাতিত লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশের পর সরকার কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায় সাময়িকভাবে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল