নোয়াখালীর হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনা নদীতে বরযাত্রীসহ ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এসময় নববধূসহ ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হাতিয়ার কেরিংচর থেকে ৫৯জন বরযাত্রী নিয়ে ঢালচর যাওয়ার পথে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এছাড়া ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ১২ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন এখনো পর্যন্ত ৭ জনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কেরিংচর থেকে ৫৯ বরযাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা (ট্রলার) নিঝুম দ্বীপের ঢালচর যাচ্ছিল। পথে চেয়ারম্যান ঘাটের দক্ষিণ-পশ্চিমে নদীতে হঠাৎ ট্রলারটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। এক পর্যায়ে স্রোতে নৌকাটি টাংকির ঘাট এলাকায় ভিড়ে। পরে স্থানীয়রা ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এরমধ্যে নববধূসহ তিনজন নারী, একজন পুরুষ ও তিন কন্যা শিশু রয়েছে।
তারা হলেন- নববধু তাসলিমা বেগম (১৯) পিতা: মোহাম্মদ ইব্রাহীম, তার খালাতো বোন আসমা বেগম (২৩) স্বামী: আকবর হোসেন, নুর জাহান(৬৫) স্বামী: মৃত খোরশেদ আলম, রাহেলা বেগম (৩০) স্বামী: আলাউদ্দিন, লিলি আক্তার(৮) পিতা: আলমগীর, আশ্রিম আক্তার লামিয়া(৯) পিতা: আকবর হোসেন ও হোসনে আরা রুপা (৬) পিতা: ফয়েজ উল্ল্যাহ। তারা সবাই হাতিয়া উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের পূর্ব আজিম নগর গ্রামের বাসিন্দা।
উদ্ধার কাজে সাহায্যকারী স্থানীয় রফিক ও পুলিশের এক কনস্টেবল সোহাগ জানান, ট্রলারে থাকা অন্তত ৩০ জন জীবিত উদ্ধার হয়েছে। অন্যদের উদ্ধারে পুলিশসহ স্থানীয়রা কাজ করছে। ট্রলারের যাত্রীরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাওয়ায় উদ্ধার করতে সমস্যা হচ্ছে। বাকিদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন জানান, এখনো পর্যন্ত ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত