সিরাজগঞ্জ নৌ থানা পুলিশের অভিযানে বগুড়ার ধুনট উপজেলার যমুনার চর থেকে আটককৃত ৪ বালু ব্যবসায়ীকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং আরো ২ জনকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার দুপুরে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় কুমার মহন্ত এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার আউলাকান্দি গ্রামের মৃত পূণ্য প্রামানিকের ছেলে কামাল হোসেন (৩৭), একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে নাসিম (২১), টাঙ্গাইল জেলার ভূইয়াপুর থানাধীন খানুসবাড়ী গ্রামের আজিত মিয়ার ছেলে বেলাল হোসেন (২৫) ও ধুনট উপজেলার সদর পাড়া এলাকার অজয় সরকারের ছেলে সবুজ সরকার (৩০)।
জানা গেছে, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বৈশাখী, রাঁধানগর ও সারিকান্দির যমুনার চরে প্রায় ৫০ থেকে ৭০টি লঞ্চ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গত ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানা পুলিশের সহযোগিতায় ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত যমুনার চরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ৭ ব্যক্তিকে আটক করে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড এবং ৪টি ড্রেজার মালিককে ২ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় কুমার মহন্ত। কিন্তু তারপরও বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ পেয়ে বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ নৌ থানার ইনচার্জ (ওসি) বাবর আলী খানের নেতৃত্বে একটি টিম ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বৈশাখী, রাধানগর ও সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনার চরে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করেন। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত আটকৃত ৪ বালু ব্যবসায়ীকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং আরো ২ জনকে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
সিরাজগঞ্জ নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবর আলী খান বলেন, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ ব্যক্তিকে বগুড়ার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, যমুনা নদীতে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন