তিন বছর পর হঠাৎ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগ। জেলা কমিটি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বুধবার উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ।
এতে বঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জীবন শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে, নতুন ঘোষিত কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাব্বিরের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এই কমিটিকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম জীবন জানান, দীর্ঘদিন যারা দলকে সংগঠিত করে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন নতুন কমিটিতে তাদের নাম নেই। আকস্মিকভাবে ফেসবুকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করায় ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। বিষয়টি দেখে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন।
২০১৭ সালে গঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন আবুল হাসান মীর। গত বছরের ৯ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম শরীফ ও হাসান হাওলাদারকে নিয়ে দলের সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন আসছেন। কিন্তু তাদের অজান্তে কমিটি ঘোষণা দেওয়ায় এলাকায় বিতর্ক ও নেতাকর্মীদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
ঘোষিত কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের ছাত্রলীগ করার বয়স উত্তীর্ণ এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাব্বির নিয়মিত ছাত্র নয়। এছাড়াও সাব্বির বিবাহিত। একটি মহল জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই কমিটির অনুমোদন করিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে যোগ্য, ত্যাগী এবং নিয়মিত ছাত্রদের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবেৃন্দের কাছে দাবি জানান তারা।
বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, জেলা কমিটির এক জরুরি সভায় শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয় আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দলকে গতিশীল করতে এক বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
