ফরিদপুরের সদরপুরে দলীয় কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি তালা দিয়েছে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি পক্ষ। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সংসদ সদস্য সাবেক এমপি কাজী জাফর উল্যাহ ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সংসদ সদস্য এবং ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের নেতৃত্বে বিভক্ত সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি তালা মারার ঘটনাটি ঘটে।
সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি উপজেলা সদরের স্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত। এ কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে কাজী জাফর উল্যাহ’র অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার অনুসারীরা ওই কার্যালয়ে সম্প্রতি তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ভবনটি দখল করে নেয়। গত একমাস ধরে কার্যালয়টি বর্তমান সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর অনুসারীদের দখলে ছিল।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে জাফর উল্যাহ’র অনুসারীরা দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর ছবিটি অপসারণ করে এবং নতুন একটি তালা কার্যালয়ের মূল ফটকে ঝুঁলিয়ে দেয়। এ কাজে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক মো. আশরাফুল।
এদিকে, এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান নেতৃত্ব দিয়ে উপজেলা সদরে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। তারা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জাফরউল্লাহপন্থীদের মারা তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেন এবং পরে নতুন আরেকটি তালা মেরে চলে আসেন।
কাজী শফিকুর রহমান বলেন, কিছু ফালতু লোক ভোর ৫টা সাড়ে ৫টার দিকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে নিক্সনের ছবি নিয়ে যায় এবং নতুন তালা মেরে দেয়। পরে এ ঘটনা জানার পর আমরা মিছিল করি এবং কার্যালয়ে নতুন তালা লাগিয়ে দেই।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
কাজী জাফর উল্যাহপন্থী হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আলম রেজা বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
