পরকীয়া প্রেম জানাজানি হওয়ার ভয়ে এক প্রেমিক যুগল একই সময় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনা ঘটেছে শেরপুরের নকলা উপজেলার ৬নং পাঠাকাঠা ইউনিয়েনের গোয়ালেরকান্দা এলাকায়। প্রেমিক গোয়ালেরকান্দি এলাকার ইয়াদ আলীর পুত্র হেলাল (৩০) এবং প্রেমিকা হাসি (২৫) ওই এলাকার গৃহবধূ সোবাহানের স্ত্রী।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ হাসির লাশ বাড়ির কাছে একটি কাঠ বাগানের ফাঁসিতে ঝুলে থাকা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। রাতে হেলালকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। আজ ভোরের দিকে হেলালকে হাসির ঘরের পিছন থেকে ফাঁসিতে ঝুলে থাকা মৃত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসির ধারনা, দুজন একই সাথে ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে।
জানা গেছে, ৯ বছর আগে হাসির সাথে বিয়ে হয় ওই এলাকার সোবাহানের সাথে। হাসির ৭ বছরের একটি ছেলে আছে। হেলাল নিজেও বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। প্রেমিক হেলাল ও হাসির স্বামী সোবাহান দূসম্পর্কের চাচা-ভাতিজা। সোবাহান ঢাকার গাজীপুরে পোশাক কারখানায় চাকুরি করে। ৩/৪ বছর ধরে হাসির বাসায় হেলাল নিয়মিত যাতায়াত করত। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে কানাঘুষা হতো। সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৮টার দিকে হেলাল হাসির বাসায় আসে। এক পর্যায়ে ওই পরকীয়া প্রেমিকে যুগলের ঘনিষ্ঠতা হাসির ছেলে ইয়ামিন দেখে ফেলে।ইয়ামিন যেন কাউকে না বলে দেয়, এই জন্য দুজনেই ইয়ামিনকে ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে ইয়ামিনের জন্য হাসি রাতের খাবারের জন্য ঘরের বাইরে উনুনে ডিম ভাজতে যায়। তারপর থেকেই হাসিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে হাসিকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দেয়। তারপর থেকে হেলালকেও পাওয়া যাচ্ছিল না। ভোরের দিকে হেলালকে হাসির ঘরের পিছনে একটি লাউ গাছের মাছার বাঁশের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখলে এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দেয়।
এলাকাবাসির ধারণা, পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি জানাজানির হওয়ার ভয়ে দুজনে একই সময় আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ফয়েজ মিল্লাত বলেছেন, দুজনের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তাকে অনেকেই জানিয়েছে।
নকলা থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব ভৌমিক জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে এখনও কেউ মুখ খুলছে না। আসলে কি ঘটনায় এমন হলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা