শেরপুরের মীর্জাপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজিতে থাকা সাত যাত্রীর মধ্যে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়জন মারা গেছেন। তবে হাত-পা ভেঙে গলেও বেঁচে আছে সিএনজিতে থাকা শিশু রুমি (৭)।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় মা রোকসানা তার মেয়ে রুমিকে বাইরে ছুড়ে ফেলে দেন। এতে রুমির হাত-পা ভেঙে যায়। সে এখন শেরপুর সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন। তবে রুমি এখন অনেকটা বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আরএমও ডা. সুমন।
রবিবার ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। চালকসহ বাকি তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপরের মধ্যে আরো দুজন মারা যান। সর্বশেষ এদিন রাত ৮টার দিকে মারা যান আরও একজন। শিশুটা ছাড়া সিএনজিতে থাকা আর কেউ বেঁচে নেই।
নিহতরা হলেন-নালিতাবাড়ী উপজেলার বন্ধধারা গ্রামের ইউসূফ আলীর ছেলে সিএনজি চালক জবেদ আলী (২৫), রাজনগর ইউনিয়নের চাঁদগাও গ্রামের তায়েব আলীর ছেলে সেলিম (২৫), একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩০), কেতু মিয়ার ছেলে লাল মিয়া (৩৫), তিনআনী ঘুটুরাপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান (৫৮) ও নন্নী বাইগরপাড়া গ্রামের মিস্টার আলীর ছেলে মামুন (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে শেরপুর শহরে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শেরপুর-নালিতাবাড়ী সড়কের মির্জাপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি দুমড়েমুচড়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই দুর্ঘটনায় মোট ছয়জন মারা গেছেন। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই