দিনাজপুরসহ উত্তর জনপদে বইতে শুরু করেছে শৈত্যপ্রবাহ। শৈত্যপ্রবাহ আর হিমেল বাতাসের কারণে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে এ জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি গবাদীপশু-গুলো কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনের টানা শৈত্য প্রবাহ, ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে গবাদীপশু গুলো। এসব গাবাদী পশু নিয়ে বিপাকে খামারিসহ কৃষকরা।
প্রকৃতির এমন প্রতিকূল আবহাওয়ায় জেকে বসেছে গবাদি পশুগুলোর ওপর। প্রতিনিয়তই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাঁস, মুরগি, গরু-ছাগলসহ গবাদিপশু। বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতালের তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ জন ভুক্তভোগী মানুষ তাদের পশুর চিকিৎসা নিতে আসছেন। খামার মালিকদের শুকনো খাবার, গোয়ালে তাপের ব্যবস্থা রাখাসহ পশুর গায়ে চটের বস্তা জড়িয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রাণীসম্পদ অফিস।
এদিকে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই খামারিরা গরুগুলো গোয়ালঘরে বেঁধে রেখেছেন। প্রচণ্ড শীতে এসব পশুগলো শুকিয়ে গেছে। শীতের কবল থেকে রক্ষা করতে পশু গুলোকে চটের বস্তা জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হাতে গোনা কিছু মানুষ তাদের ছাগলকে পুরাতন কাপড় পরিয়ে রক্ষার চেষ্টা করলেও অধিকাংশ ছাগলেরই যত্ন নিতে পারছেন না। এসব কারণে পশুগুলো শীতকালীন নানা সমস্যায় ভুগছে বলে জানান খামারীসহ কৃষকরা।
চিরিরবন্দরের নশরতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, তারা নিজেরাই শীতে কাহিল। এরপরেও গরুগুলোকে রাতে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। গোয়াল ঘরে আগুন জ্বালিয়ে তাপ দেয়ার পাশাপাশি গোয়াল ঘরের চারদিকে আটকে দেয়া হয়। হিমেল হাওয়ার সাথে ঠাণ্ডা বেশি হওয়ায় গরুগুলোকে বাইরে আনা যায়নি।
দিনাজপুর সদরের উলিপুরের মুরগির খামার মালিক আসাদুজ্জামান লিটন জানান, ঘন কুয়াশা আর শীত থেকে মুরগিকে বাঁচাতে খামারের চারদিকে ঘিরে রাখার পাশাপাশি ভেতরে গরম রাখতে বিদ্যুতের বাল্ব জ্বালিয়ে তাপ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন