টেকনাফের সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে পর্যটকের যাতায়াত বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার ঢিলেঢালা ধর্মঘট চলছে। সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠন রবিবার থেকে এই ধর্মঘট পালন করে আসছে।সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদও সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম জানান, ধর্মঘটের প্রথম দিন গতকাল রবিবার সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভোগান্তির কারণে কিছুটাকর্মসূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের দুর্ভোগ ও স্বার্থের কথাবিবেচনা করে ভ্যানগাড়ি, অটোরিকশা (টমটম) ও খাবার হোটেল (রেস্টুরেন্ট) ধর্মঘটের আওতারবাইরে রাখা হয়েছে।
তবে বন্ধ রাখা হয়েছে সার্ভিস বোট, দোকানপাট, স্পিড ও গামবোট। সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচির্ত্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর ২ জানুয়ারি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে পর্যটকেরযাতায়াত বন্ধ করার কথা বলা হয়। রবিবার ধর্মঘটের কারণে দ্বীপটিতে সকাল থেকে দোকানপাট, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়িসহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার বিকেলে সেন্টমার্টিনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করা হয়েছে। সেখান থেকে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেবেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন