যশোরে মানসিক প্রতিবন্ধী ভাতিজার ধারালো বটির কোপে চাচা আবুল কাসেম (৬০) নিহত হয়েছেন। নিহত আবুল কাসেম একই গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর ছেলে। হত্যাকারী আলাল (২৮) একই গ্রামের রওশন আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া নারানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার। পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলালকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ পড়ে আবুল কাশেম নারায়নপুর মোড়ে চা খেতে আসেন। সেখানে মানসিক ভারসাম্যহীন আলাল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধারালো অস্ত্র (বটি) দিয়ে কাশেমের মাথায় কোপ মারে। স্থানীয়রা কাশেমকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাতিজা রনি জানান, সকালে তার চাচা আবুল কাসেম হাঁটতে বের হন। এ সময় আলালদের বাড়ির সামনে পৌঁছালে সে বাড়ি থেকে বটি নিয়ে এসে তাকে কোপ দেয়। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। আলাল মানসিক প্রতিবন্ধী। তাকে বেঁধে রাখতে হয়। না হলে সে বাড়ি থেকে পালিয়েও যায়। কোন শত্রুতা নয়, এটি একটি দুর্ঘটনা।
চাঁচড়া ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রকিবুল ইসলাম হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে জানান, আলালকে আটক করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আবুল কাসেমের বড় ধরনের ক্ষত হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামন বলেন, পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ