সাভারের গোলাপ গ্রাম খ্যাত বিরুলিয়ার ফুল চাষিরা প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গোলাপ ও জারবেরা সূর্যমুখিসহ বিভিন্ন ফুলের বাগানে নেয়া হচ্ছে বাড়তি পরিচর্যা।
বাগান মালিকেরা বলছেন, বর্তমানে দেশের বাজারে প্লাস্টিকের ফুলের চাহিদা বেড়ে গেছে। তারপরও এবছর ভালোবাসা ও মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে তাদের মোট আড়াই কোটি টাকার ফুল বিক্রির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
সাভার উপজেলার সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ৭০০ থেকে ৮০০ হেক্টর জমিতে গোলপের চাষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় বিরুলিয়া, মোস্তাপাড়া, সামাইল ও শ্যামপুর এলাকায়। প্রায় চার শতাধীকের অধিক চাষি বাণিজ্যিকভাবে এ ফুলের চাষ করে আসছে। ফলন আর চাহিদা ভালো হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে এ চাষির সংখ্যা। এরই মাঝে জোগ হয়েছে ভিন দেশী ফুল জারবেরা ও সুর্যমুখি ফুল। বিরুলিয়া ইউনিয়নে এবারই প্রথম সূর্যমুখি ফুলের চাষ হচ্ছে। সল্প পরিসরে হলেও সূর্যমুখি ফুল চাষী লাভবান বলে জানিয়েছেন।
বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাভার উপজেলায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করছে ফুল চাষিরা। এর মধ্যে চারশত ফুল শ্রমিককে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গোলাপ বা ফুল চাষিদের যেন ক্ষতির সম্মুখিন হতে না হয়, সেজন্য স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক চাষিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষাসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বলে জানান সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
এই মুহূর্তে বিরুলিয়ার প্রতিটি বাগানই ফুলে ফুলে ভরপুর। তাই রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতি দিনই অসংখ্য দর্শনার্থী ঘুরতে আসছেন বাগানগুলোতে। ঢাকাসহ সারা দেশ থেকেই ফুল ব্যবসায়ীরা ভিড় করছেন গোলাপ গ্রাম নামে খ্যাত এই বিরুলিয়ায়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন