যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। সব পর্যটন স্পট ছাড়িয়ে পর্যকটরা ছড়িয়ে পড়েছে বান্দরবানের পাহাড়ি গ্রামে গ্রামেও। হোটেল-মোটেলে ঠাঁই না পেয়ে পাহাড়ি গ্রাম-বা রাস্তার ধারে রাত্রীযাপন করছেন পর্যটকরা।
টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যেও বান্দরবানে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলগীরিসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন এবং বান্দরবানের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
বান্দরবানে চান্দের গাড়ি (পর্যটকবাহী গাড়ি) চালক টিপুদত্ত জানান, দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে বান্দরবানে আমরা গাড়ি চালাতে পারিনি, কিন্তু ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও হোটেল-মোটেলে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটেছে।
বান্দরবানের একটি আবাসিক হোটেলের স্বত্তাধিকারী জাকির হোসেন জানান, বান্দরবানে পর্যাপ্ত পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমাদের বেশিরভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে, পর্যটকদের সেবা দিতে আমরাও প্রস্তুত রয়েছি।
বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, তিন দিনের ছুটিতে বান্দরবানে বেশ পর্যটকের সমাগম হয়েছে, বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে গেছে। জেলা সদরের হোটেল-মোটেলের রুম বুকিং হয়ে যাওয়ায় অনেক পর্যটক বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরতে চলে যাচ্ছেন।
এদিকে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বলেন, বান্দরবান একটি পর্যটন জেলা আর এই জেলাতে সবসময় দেশি-বিদেশি পর্যটকের সমাগম হয়। বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রচুর পর্যটক সমাগম হয়েছে এবং বান্দরবান জেলা পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ