কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধে নাজমা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার পর অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসীর বাড়িতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় রামদা, বল্লম, চাইনিজ কুড়ালসহ দুই শতাধিক বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে আব্বাসীর সঙ্গে বিরোধ চলছিলো নিহতের দেবর সিরাজুল ইসলাম সিরাজের। সিরাজ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়কের পদে রয়েছেন। তবে গত নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিনি আব্বাসীর ভয়ে ঢাকা থেকে আর এলাকায় আসতে পারেননি।
গতকাল শুক্রবার সিরাজ তার চাচাতো ভাই দিলবরের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ঢাকা থেকে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর বাড়িতে আসেন। তবে সামনে ইউপি নির্বাচন হওয়ায় সিরাজের বাড়িতে আসার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি আব্বাসী। এজন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় আব্বাসীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ওই হামলা চালায়। এতে নাজমা বেগমসহ ছয়জন আহত হয়।
হোমনা ও মেঘনা থানা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম বলেন, শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত চেয়ারম্যানের বাড়িতে ওই অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে দুই শতাধিক দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযানকালে চেয়ারম্যান আব্বাসী ও তার সহযোগীরা পলাতক থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, হত্যা ও হামলার ঘটনায় আহত সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করবেন বলে তাদের পরিবার জানিয়েছে। আর অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করবে। থানায় দু’টো মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর