নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল আগামী সোমবারের জন্য পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শনিবার সকালে বসুরহাট রূপালি চত্ত্বরে মির্জা এবং দুপুরে উপজেলার পেশকারহাট রাস্তার মাথায় বাদল পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সকাল ৬টা থেকে মির্জা কাদের জেলার ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যাহার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবীতে তার ডাকা হরতালের সমর্থনে বসুরহাট পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে। সকাল ৭টার দিকে তার নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় হাতাহাতি। এক পর্যায়ে পুলিশ ও র্যাব লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে সকাল ১১টার দিকে বাজারের রূপালী চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মির্জা কাদের। এ সময় তিনি বলেন, শুক্রবার বিকালে প্রশাসনের সহযোগিতায় সাবেক চেয়ারম্যান বাদল তার নেতাকর্মীদের উপর হামলা এবং গুলি করে। এতে তার অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হয়। তিনি তার পূর্বের দাবিতে অনঢ় থেকে এসব ঘটনার বিচার দাবি করেন এবং আগামী সোমবার সকালে বসুরহাট পৌর শহরে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেন। কর্মসূচিতে সকলকে অংশগ্রহণ করার নির্দেশও দেন। তবে এ মানববন্ধন দলীয় নয় মির্জা কাদেরের ডাকে হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। গত কয়েকদিন তার কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও আজকের সংবাদ সম্মেলনে দলীয় নেতাকর্মীদের তেমন দেখা যায়নি।
অপর দিকে গত দুই মাসের মতো আবদুল কাদের মির্জা পুরো কোম্পানীগঞ্জকে জিম্মি করে রেখেছে এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মিজানুর রহমান বাদল। তিনি দাবি করেন, শুক্রবার বিকালে তার শান্তিপূর্ণ মিছিলে মির্জা কাদেরের লোকজন বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ তার অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হয়েছে। মির্জা কাদের একের পর এক অপরাজনীতি করে যাচ্ছেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি মির্জা কাদেরের এমন অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করেন এবং এর প্রতিবাদে আগামী সোমবার বসুরহাটে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন