অবশেষে মঞ্চটি গুটিয়ে নিলেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এ মঞ্চেই গত প্রায় দেড় মাস ধরে সত্য বচন গেয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে মঞ্চ সরানোর কার্যক্রম শুরু হয়।
মঞ্চ সরানোর সময় আবদুল কাদের মির্জা কিছু সময় স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। পরে ঘটনাস্থলে যান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনের পর থেকেই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে শহরের রূপালি চত্বরে বাঁশের খুটি পুঁতে ও কাঠ দিয়ে মঞ্চ তৈরি করে এখানে তার নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। অন্তত দেড় মাস ধরে এ মঞ্চে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নামের সঙ্গে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের তকমা মাখেন। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে ওই মঞ্চটি তিনি সরিয়ে নেন।
এ বিষয়ে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে কথা হয় কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনির সঙ্গে। তিনি জানান, আবদুল কাদের মির্জাকে তার মঞ্চ সরিয়ে নিতে বলা হলেও তিনি তা নেননি। প্রশাসন মঞ্চের কাছ থেকে সরে গেলে তিনি পুনরায় সেখানে কর্মসূচি করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমাসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তিনি মঞ্চটি সরিয়ে নেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল