গোপালগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে মধুমতি নদী। এ মধুমতি নদীতে সংযোগ হয়ে সদর উপজেলার দূর্গাপুর এবং করপাড়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কংশুর খাল। এক সময়ের প্রবাহমান এ খাল প্রায় ৩০ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আস্তে আস্তে খালের দুই পাড়ে বসবাসরত মানুষেরা খাল ব্যবহার করতে না পারায় এবং এ অঞ্চলের ৪ টি ইউনিয়নের কৃষি জমির জলাবদ্ধতার কারণে কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে থাকে।
জলাবদ্ধতা ও পানি সংকটসহ নানান অসুবিধার কারণে খালটি হয়ে যায় মানুষের অভিশাপ। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে জেলা প্রশাসন খালটির মুখ কেটে মধুমতির সাথে সংযোগ করে দিয়ে খালের অভিশাপ হতে মুক্তির ব্যবস্থা করে দিলো ভুক্তভোগীদের।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দূর্গাপুর এবং করপাড়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কংশুর খাল। এক প্রবাহমান এ খাল দিয়ে বড় বড় মালবাহি নৌকা যাতায়াত করত। প্রতিবছর হতো নৌকা বাইচ। কালের গুরুত্বপূর্ণ এ খালের নদি সংলগ্ন মুখে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ৩০ বছর আগে খালটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে একদিকে যেমন খালের দুই পাড়ে বসবাসরত দুটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে খালের পানি ব্যবহার হতে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে খাল কেন্দ্রিক সদর উপজেলার করপাড়া, দূর্গাপুর, কাঠি ও কাজুলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে ফসল হয়না। সরকার খালটিকে জলমহাল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইজারা প্রদান করে আসছি। ইজারা প্রাপ্তরা খালের মাঝখানে একাধিক স্থানে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল।
ফলে এ অঞ্চলের মানুষ খালটির মুখ কেটে মধুমতির সাথে এক করে দিয়ে খালে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করার জন্য জন্য একাধিকবার মানববন্ধন সহ নানাভাবে আন্দোলন করে আসছিল। অবশেষে স্থানীয় জেলা প্রশাসন এ খালের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে খালের ইজারা বাতিল করে মধুমতি নদীর মুখে খালের মুখ উন্মুক্ত করে দিয়ে খালে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং খালের মাঝখানের সকল বাঁধ তুলে দেয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার