বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগল মালিকের দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিন। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ছাগলটি ভিন্নস্থানে জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে।
ছাগলের মালিক সাহারা বেগম সাংবাদিকদের জানায়, আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলো সংলগ্ন বসবাসরত জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাহারা খাতুন তার সংসার চালাতে মুরগী ও ছাগল পালন করে। ছাগলটি গত ১৭ মে দিনের বেলায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢুকে ফুলগাছের পাতা খায় ও নষ্ট করে। এ সময় নির্দেশ পেয়ে ওই ছাগলটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিরাপত্তা কর্মী আটক করে রাখে।
ছাগলের মালিক সাহারা বেগম ছাগলটি খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে উপজেলা চত্বরের ভেতর ছাগলকে বেঁধে রেখে ঘাস খাওয়ানো অবস্থায় দেখতে পায়। ছাগল নিতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেয় এক নিরাপত্তা কর্মী। এরপর তাকে বলা হয় ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ছাগলের মালিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ছাগলও নিতে পারেনি।
ছাগলের মালিক সাহারা বেগমের অভিযোগ, তাকে ছাগলটি না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে ছাগলটি ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। এর মধ্যে গৃহকর্মী মারফত খবর দেওয়া হয়েছে জরিমানার ২ হাজার টাকা বাদ দিয়ে ৩ হাজার টাকা ছাগল মালিককে নিয়ে আসতে।
বগুড়া বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ কুদরত-ই-এলাহী কাজল জানান, কোনো গাছ পালা খেলে ছাগল সর্বোচ্চ খোয়ারে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ছাগল আটক রেখে বা বিক্রি করা ঠিক হবে না।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বললে তিনি জানান, ফুলের গাছ খাওয়া নিয়ে ছাগলের মালিককে চারদফা নিষেধ করা হয়েছে। এরপর ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে মালিকের অজান্তে ছাগলকে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে মালিকের দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ছাগল বিক্রি করা হয়নি, একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ছাগল মালিক সঠিক বলছে না।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর