বগুড়া ও নওগাঁ জেলার সীমানা বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে প্রবেশদ্বারগুলোতে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। বাঁশ দিয়ে চলাচলের সড়ক আটকে দিয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলায় করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে এক সপ্তাহের বিশেষ লকডাউন। ভারতীয় সীমান্ত এলাকা হওয়ার কারণে নওগাঁ জেলায় করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং ঝুঁকি কমিয়ে আনতে এই লকডাউন চলছে। জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় শুক্রবার থেকে বগুড়া ও নওগাঁর সীমানায় চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। যেন অবাধে পরিবহন চলাচল না করতে পারে, ইচ্ছেমত ঘোরাফেরা, জনসাধরণ যেন ঝুঁকি মুক্ত থাকতে পারে- তাই প্রধান প্রধান সড়কে বাঁশ দিয়ে লকডাউনের আওতায় ফেলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের একাডেমী স্কুল ও সাবেক জয়পুরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাঁশের ব্যরিকেট দিয়ে লাল কাপড় টাঙিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে গণপরিবহন ও বড় বড় যানবাহন সান্তাহার পৌর শহরে আর প্রবেশ করতে পারছেনা।
বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা হক জানান, বগুড়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নওগাঁ থেকে যেসব পয়েন্ট দিয়ে মানুষ সান্তাহারে প্রবেশ করছে সেসব পয়েন্ট আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। পদক্ষেপ নিতে সান্তাহার পৌরসভা ও ফাঁড়ি পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। আগামী ৯ জুন পর্যন্ত গণপরিবহনে নওগাঁর মানুষ সান্তাহারে এবং সান্তাহারের মানুষ নওগাঁয় অবাদে চলাফেরা করতে যেন না পারে এজন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বগুড়ার আদমদিঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন জানান, দু'টি স্থানে জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এজন্য থানা পুলিশের দু'টি বিশেষ টিম কাজ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবার প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে।
জানা যায়, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে গত ৩ জুন থেকে আগামী ৯ জুন পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ গণপরিবহনের চালকরাই নওগাঁর নিকটবর্তী বগুড়ার সান্তাহার পৌর শহরের পশ্চিম ঢাকা রোড নামক স্থান থেকে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে। গণপরিবহনে চলাচলকারী যাত্রীরা সহজেই সান্তাহারে প্রবেশ করে চলাফেরা করছেন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বাঁশ দিয়ে লকডাউন করে গণপরিবহণ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সান্তাহার পৌরসভার প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন জানান, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁয় এক সপ্তাহের বিশেষ লকডাউন। কিন্তু পার্শ্ববর্তী সান্তাহার এলাকা থেকে গণপরিবহন ও জনসাধারণ চলাচল করবে বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে পৌরসভা ও ফাঁড়ি পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শহরের প্রবেশদ্বারগুলো আটকিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ