সাভারের আশুলিয়ায় লাখি আক্তার নামে নারীর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামি জুয়েলসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। রবিবার র্যাব-১ জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে র্যাব-১ একটি বিশেষ আভিযানিক দল জিএমপি গাজীপুর এর কাশিমপুর থানাধীন মাটি মসজিদ সাকিন, জনৈক রাসেলের বাড়িতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে।
গত ৮ জুন দিবাগত রাতে আশুলিয়া থানাধীন সুবন্দী এলাকায় লাখি আক্তার (২৯) নামে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত লাখি আক্তার (২৯) আশুলিয়ার গোয়াইলবাড়ি কোনা পাড়া এলাকার মজিবর রহমানের মেয়ে। পরবর্তীতে নিহতের বাবা গত ১০ জুন আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন। গ্রেফতারকৃত হলেন ঢাকা জেলার মো. জুয়েল (৩০) পিতা-রফিক, মো. রফিক (৫৭), পিতা- মৃত আফাজ উদ্দিন, মো. বাচ্চু মিয়া (২৯), পিতা- মো. ইয়াজ উদ্দিন।
র্যাব -১ জানায়, লাখি আক্তার হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি জুয়েল (৩০) তার প্রথম স্বামী। জুয়েল একজন মাদকসেবী এবং চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের
সাথে জড়িত ছিল। এছাড়াও সে বিভিন্ন সময় লাখি আক্তারের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাত। পরবর্তীতে বিগত ৪ বছর পূর্বে লাখির সাথে প্রধানজুয়েলের সাথে তালাক হয়। তালাকের পরেও লাখি আক্তারের বাসায় গিয়ে পূনরায় স্ত্রী হিসেবে নিতে চায়। পরিবারের কেউ লাখি আক্তারের সাথে প্রধান আসামির সাথে পুনরায় বিয়ে দিতে রাজি না হলে, প্রধান আসামী তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে গত ২ মে ২০২১ তারিখ জনৈক সিঙ্গাপুর প্রবাসীর সাথে লাখি আক্তারের বিয়ে হয়। গত ৮ জুন আসামী জুয়েল ও বাচ্চু মিয়ার প্ররোচনায় লাখি আক্তারকে কৌশলে আশুলিয়া থানাধীন সুবন্দী এলাকায় কাঠের বাগানের ভিতর নিয়ে যায় এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে স্বীকার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোরশেদুল হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকেই খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরপর প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে ওই ৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন