প্রথম ধাপে পটুয়াখালী জেলার চারটি উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে দুমকি উপজেলার ৩টি, গলাচিপার ৪টিতে নৌকা, দশমিনা উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নের একটিতে নৌকা এবং দুটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া বাউফল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৮ জন এবং একজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার রাতে নির্বাচন অফিস সূত্র থেকে ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজয়ীরা হলেন দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নে গোলাম মর্তুজা (নৌকা), পাংগাশিয়া ইউনিয়নে এ্যাড. গাজী নজরুল ইসলাম (নৌকা) এবং মুরাদিয়া ইউনিয়নে মিজানুর রহমান (নৌকা) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।

দশমিনা উপজেলায়র আলিপুরা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আতিকুর রহমান সাগর (আনারস), বাশবাড়িয়া ইউনিয়নে কাজী আবুল কালাম (নৌকা), বহরমপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আসাদুজ্জামান সোহাগ (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বেসরকারি ফলাফলে বাউফল উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ আ. স. ম. ফিরোজের ভাতিজা এনামুল হক আলকাছ মোল্লা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া কনকদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহিন হাওলাদার, ধুলিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মু হুমায়ন কবির, বগা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মো. মাহামুদ হাসান, আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. মঞ্জুর আলম হাওলাদার, কেশবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ সালেহ্ উদ্দিন পিকু, কাছিপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন জামাল এবং কালাইয়া ইউনিয়নে এস এম ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

পটুয়াখালী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের বিষয়টি জানান।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা