বুধবার রাতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট বোন রোকেয়া বেগমের বাসায় হামলা ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ঘটনার দিন রাতে বসুরহাট থানার সামনের সড়কে কাদের মির্জার বড় বোন তাহেরা বেগম ও ছোট বোন রোকেয়া বেগমসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ অনুসারিরা বিক্ষোভ মিছিল করে কাদের মির্জার বিচার দাবি করে।
এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে বসুরহাটে বৃহস্পতিবার বিকেলে পাল্টা পাল্টি সমাবেশ ডাকে। পরিস্থিতি এড়াতে দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক মীর দুপুর ১২ টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের সাহাজাদপুরে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের সাংবাদিক প্রশান্ত সুভাস চন্দকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা। এ সময় সন্ত্রাসীরা সুভাসের মা দেবী রানী চন্দ ও ছেলে প্রমীত প্রতাপ চন্দকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে শহিদ উল্যাহ ওরফে কেচ্চা রাসেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাংবাদিক সুভাসের বসত ঘরও ভাংচুর করে। আহতদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাদের মির্জার বোন রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন, মির্জার বাহিনী এ হামলা করেছে। সে এখন গডফাদার, পুলিশ তাকে প্রটেকশন দিচ্ছে। সে বিশাল ক্ষমতাধর। বাসায় হামলা করে আমার ছেলে রাহাতকে খুঁজতে থাকে। এ হামলার ঘটনা কেচ্চা রাসেলের নেতৃত্বে হয়েছে বলে মন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে সাহাদাত সাহেদ ফোন রিসিভ করে বলেন, এ হামলার ঘটনার সাথে মেয়রের অনুসারীরা জড়িত নয়। তারা বিকাল ৫ টায় শুনেছেন বলে জানান।
পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, এ বিষয়েটি আমরা খতিয়ে দেখছি, লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বসুরহাট এলাকায় র্যাব , পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন