যমুনা নদীর পানি কমার সাথে সাথে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও শাহজাদপুরের নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলা হলেও তা কাজে আসছে না। গত দুদিনে অন্তত ২০টি বসতভিটাসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ২২ সে.মি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে সে.মি কমেছে। পানি কমলেও এনায়েতপুর জালালপুরর ইউনিয়নে রবিবারে একদিনেই জিও-ব্যাগসহ অন্তত ৫টি বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। চৌহালীর বিনানুনই এলাকায় একদিনেই ৫টি বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির আছে অনেক বসতভিটা। ফলে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে ভাঙন আতঙ্ক।
খাসপুকুরিয়া এলাকার রমজান আলী জানান, গত একমাস যাবত যমুনার পানি বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। বসতবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি। ভিটাটুকু ভাঙতে ভাঙতে নদীতে বিলীন হয়েছে। গত ৩ দিন আগে জিও বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু এতে কাজ হচ্ছে না। মাত্র ৩ দিনের ভাঙনে অন্তত ১৫টি বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বিনাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরবিনাইন কমিউনিটি ক্লিনিক, চরবিনাইন বাজার, হাফেজিয়া মাদরাসা ও চরণাকালিয়া তাঁত কারখানা।
চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক সরকার জানান, বর্ষা মৌসুম আসলেই নদী তীরবর্তী মানুষ ভাঙন আতঙ্কে থাকে। তাদের নির্ঘুম রাত কাটে। বর্তমানে বিনানুই এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পাউবো একজায়গায় জিওব্যাগ ফেলে রোধ করলে ফের অন্যজায়গায় ভাঙ্গন শুরু হয়। স্থায়ী বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা হলে চৌহালীর অস্তিত্ব থাকবে না।
কৈজুরি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, পাঁচিল এলাকায় নামমাত্র জিও-ব্যাগ লো করা হচ্ছে। এভাবে ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। আমরা চাই স্বচ্ছতার সাথে কাজ করে মানুষের জানমাল রক্ষা করুক পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পাচিলসহ ওই অঞ্চলে ভাঙন রোধে জরুরি কিছু কাজ করা হয়েছে। তারপরেও আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রনো আবারও জরুরি কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে কাজ শুরু হবে অক্টোবর-নভেম্বরে। ওই কাজটি করা গেলে আর ভাঙন থাকবে না।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন