ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোনায়েম খান কারাগার থেকে বের হওয়ার পর ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
রবিবার সকালে ফরিদপুর জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাশার তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত থেকে জামিনের কাগজপত্র পৌঁছার পর বিকাল ৫টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হন।
এ সময় জেলা কারাগারের প্রধান ফটকে ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে রাত ৯টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে দ্বিতীয় দফায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম কারামুক্ত হওয়ায় সেখানে এক আলোচনা সভা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এআইজি মালিক খসরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজা, কারামুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোনায়েম খান প্রমুখ।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান আমিরুল ইসলাম, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি, গোপালপুর ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বাবুল, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস শেখসহ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গোপালপুর গ্রামের সেকেন্দার আলম নামে এক বাসিন্দার ওপর দুর্বৃত্ত হামলার আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অন্য নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। ওই মামলায় কারাগারে ছিলেন মোনায়েম খান।
সেকেন্দার আলমের করা মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করে আসছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। মামলা করার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া এবং মোনায়েম খানকে মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন