মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। দেশের দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৭টি ফেরি থাকলেও চলছে মাত্র চারটি ফেরিতে যানবাহন পারাপার। এ ৪টি ফেরির মধ্যেও দুটি ফেরি নতুন করে এই রুটে আনা হয়েছে। নতুন আনা দুটি হচ্ছে 'ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল' ও 'ফেরি বেগম রোকেয়া' আর পূর্বে যে সমস্ত ফেরি ছিল তার মধ্য থেকে 'ফেরি কুঞ্জলতা' ও 'ফেরি কদম রসূল'কে রাখা হয়েছে। এই চারটি ফেরি দিয়ে কোন রকমে সচল রাখা হয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট।
১৪ আগস্ট শনিবকার সকাল থেকে এ চিত্র দেখা গেছে। দেশের অন্যতম মেঘা প্রকল্প পদ্মাসেতু প্রকল্পের পদ্মাসেতুর পিলারে কয়েকদিনের ব্যবধানে চার/পাঁচ বার ফেরির ধাক্কা লাগার পর এই নৌ-রুটে ফেরি চালানো নিয়ে বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে এই পথ থেকে সকল রো রো ফেরি সরানো হয়েছে। নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ডাম্ব ফেরিগুলো চালানো কঠিন হয়ে পড়ে ফলে শুধুমাত্র কে-টাইপ ফেরি দিয়ে কোনোরকমে ফেরিঘাটে যান পারাপার করা হচ্ছে। এ কারণে দক্ষিণাঞ্চলে যানবাহন গুলোকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ এড়িয়ে বিকল্প পথে চলার অনুরোধ করছেন কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি’র মাওয়াস্থ শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে এই রুটে নতুন দুটি কে-টাইপ ফেরি আনা হয়েছে এবং পূর্বে থাকা কে টাইপ ফেরি কুঞ্জলতা ও ফেরি কদম রসূল চালু রয়েছে। এই ফেরি চারটি দিয়ে জরুরি যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
এদিকে, শিমুলিয়াঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তির স্বিকার হতে হচ্ছে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের যাত্রীদের। এখান থেকে অনেক যানবাহনকে বিকল্প পথে রওয়ানা হতে দেখা গেছে।
এদিকে, এই নৌ-রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং এখানে ৮৭টি লঞ্চ চালু রয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবার শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম দেখা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন