গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের খিরু নদীতে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ চিকিৎসকসহ দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে নিখোঁজ তানভীরের ও বুধবার বেলা দেড়টার দিকে নিখোঁজ চিকিৎসক অমিত কুমার সাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত অমিত সাহা গাজীপুর মহানগরীর মৃত দুলাল রায়ের ছেলে। তিনি ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ছিলেন। তানভীর ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বন্ধু মাল্টিমিডিয়ার (কম্পিউটারের দোকান) স্বত্তাধিকারী ।
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহফুজ আরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় নৌভ্রমনে বের হন ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ কয়েকজন স্টাফ। এক পর্যায়ে নৌকা নিয়ে তারা পাশের শ্রীপুর উপজেলায় চলে যান। পরে সেখান থেকে খিরুনদী দিয়ে ফেরার পথে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই এলাকায় পৌঁছালে রাত ৮টার দিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালিভর্তি ট্রলার (ভলগেট)-এর সঙ্গে তাদের নৌকার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নৌকা থেকে যাত্রীরা নদীর পানিতে পড়ে যায়। পরে অনেকেই পানি থেকে সাঁতরে উঠে আসতে পারলেও হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডা. অমিত কুমার (৩৯তম বিসিএস) ও নৌকায় থাকা তানভীরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরে রাতেই ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়রা তাদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেন। রাতে সাড়ে ১২টার দিকে তানভীরকে নদী থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে আনা হয়। এরপর সকালে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ চিকিৎসক অমিত সাহার খোঁজে নদীতে নামে ফায়ার সার্ভিস পাশাপাশি স্থানীয় জেলেরা। বুধবার দুপুরে নিখোঁজ চিকিৎসক অমিতের খোঁজে স্থানীয় জেলেরা খিরু নদীতে জাল ফেলেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আধ কিলোমিটার দুরে তার নিথর দেহ জেলেদের জালে উঠে আসে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন