শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নুর মোহাম্মদ খালাসী (৩০) নামের এক ট্রলার চালকের লাশ দাফনের ১৮ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ওই ট্রলারচালকে বিয়ের বরযাত্রীর লোকেরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের চরফিলিজ হাওলাদার কান্দি গ্রাম থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসিত সাত্তার, গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলীসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, আদালতের নির্দেশে ১৪ আগস্ট থানায় এই হত্যা মামলা করা হয়েছে এবং আজ শুক্রবার সকালে নুর মোহাম্মদের লাশ উত্তোলন করা হয়। উত্তোলনের পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১১ আগস্ট নিহত নুর মোহাম্মদ খালাসীর বাবা সিডু খালাসী শরীয়তপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন। আদালতের ২০ আগস্টের মধ্যে মরদেহ উত্তোলনসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশিনগর টেকের বাজার ঘাট থেকে নুর মোহাম্মদ খালাসী বিয়ের বরযাত্রী নিয়ে ট্রলারযোগে গোসাইরহাট উপজেলার গাছচর এলাকায় যাচ্ছিলেন। গোসাইরহাট উপজেলার মাঝের চর পৌঁছলে নদীর চরে ট্রলার ঠেকে যায়। তখন নুর মোহাম্মদ বর পক্ষের লোকজনকে ট্রলার থেকে নামতে বলেন। তারা নামবে না বললে, বর পক্ষের লোকজন ও ট্রলার চালক নুর মোহাম্মদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে বর পক্ষের চরফিলিজ এলাকার ওয়ালিদ মাদবর (৩৫), শহিদুল্লাহ মোল্লা (৪৫), শুকুর আলী মালতসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। কিন্তু হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন এমন বলে তরিঘুরি করে ২ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ওয়ালিদ মাদবর, শহিদুল্লাহ মোল্লা, শুকুর আলী মালতসহ ১০ জন ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে নিহত নুর মোহাম্মদের বাবা সিডু খালাসী শরীয়তপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন