সারা দেশে বিভিন্ন সেক্টরে করোনাকালীন সময় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রণোদনা পেলেও মাদারীপুরের মৎস্য চাষীরা বঞ্চিত হয়েছে এই প্রণোদনা থেকে। স্থানীয়দের দাবি, করোনাকালে মৎস্য উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। কমেছে বিক্রি। এতে করে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে মৎস্য চাষীরা। এই ক্ষতি বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন স্থানের মৎস্য চাষীরা প্রণোদনা পেলেও মাদারীপুরের চাষীদের ভাগ্যে জোটেনি প্রণোদনার অর্থ। এতে করে হতাশ মৎস্য চাষীরা। তবে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক শোনালেন আশার কথা। তিনি জানালেন অন্য সেক্টরে পেলে মৎস্য চাষীরাও পাবেন প্রণোদনার অর্থ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অল্প বিনিয়োগ করে ভালো লাভ হওয়ায় অনেক বেকার যুবক ঝুঁকেছিলো মৎস্য চাষে। এই মাছ মাষের ফলে স্থানীয়দের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়েছে। আবার অনেকে হয়েছে সাবলম্বি। কিন্তু গত দুই বছরে করোনার থাবায় সব এলোমেলো হয়ে গেছে। করোনার কারণে বেড়েছে মাছের উৎপাদন ব্যয়। কিন্তু কমেছে মাছের বাজার দর। এতে করে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে মৎস্য চাষীরা। এই ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে বিভিন্ন এলাকার মৎস চাষীদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেয়া হলেও মাদারীপুরের প্রায় ৫ হাজার চাষীরা বঞ্চিত হয়েছে এই প্রণোদনা থেকে। এতে করে হতাশ মৎস্য চাষীরা। মৎস চাষীরা দাবি করেছেন সরকারের কাছে প্রণোদনা। প্রণোদনার অর্থ পেলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে দাবি চাষীদের।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার মাহফুজ নামে এক মৎস্য চাষী জানান, তিনি ২৫ বিঘা জমিতে ঘের করে মাছের চাষ করেছেন। করোনাকালে অন্যান্য খাতে প্রণোদনা পেলেও মৎস্য চাষীরা বঞ্চিত হয়েছে এই সুবিধা থেকে। রফিক নামে আরেক মৎস্য খামারি বলেন, আমার এক আত্মীয় সাতক্ষীয় মাছের খামার আছে। সে সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা পেয়েছে। কিন্তু আমরা মাদারীপুরবাসী এই প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত। আমরা কেউ পাইনি। আমরা চাই আমরাও যেন প্রণোদনা পাই।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, সরকার বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনার অর্থ দিয়েছে। এই সেক্টরেও দিবেন। কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে হয়তো অন্য জেলায় দিয়েছে। মাদারীপুরেও এর ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল