চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুম থেকে মালেকা খাতুন (৫৫) নামের চিকিৎসাধীন এক রোগীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ওই রোগির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মালেকা খাতুন আলমডাঙ্গার হারদী কুয়াতলা গ্রামের গোলাম রসুলের স্ত্রী। তিনি মানসিক অস্থিরতা ও প্রস্রাবে ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ধারণা মালেকা খাতুন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ জানান, মালেকা খাতুন গত ৮ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তার মানসিক অস্থিরতা এবং প্রস্রাবে ইনফেকশন থাকায় সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের বাথরুম থেকে তার গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ নামানো হয়। ওই সময় হাসপাতালে তার পরিবারের কোনো লোকজন ছিল না। তিনি নিজের ওড়না দিয়ে বাথরুমের জানালার সাথে গলায় ফাঁস দেন।
পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির জানান, দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন। মাঝেমধ্যে চিকিৎসা নিতেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সকলের অজ্ঞাতে তিনি বাথরুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ নেই। থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে। পরিবারের লোকজন ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ চেয়েছেন। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন