মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর এলাকার রাস্তা বিহীন তিনটি সেতু কোনো কাজেই লাগছে না। জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে এই সেতু তিনটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত রাস্তায় কোনো কাজ করা হয়নি। ফলে ২৫ বছর ধরে রাস্তার অপেক্ষায় রয়েছে সেতু তিনটি।
স্থানীয়রা জানান, সেতু তিনটি বর্ষা বা শুষ্ক কোনো মৌসুমেই কাজে লাগছে না। এলাকায় প্রয়োজন হলো রাস্তা, রাস্তা না করে কেন সেতু নির্মাণ করা হয়েছে বুঝতে পারছি না।
তারা আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে মনে হয় সমস্ত এলাকাই নদী, শুধু সেতু তিনটি দেখা যায়। আর শুষ্ক সময়ে লোকজন হয় সেতুর নিচ দিয়ে অথবা পাশ দিয়ে চলাচল করে।স্থানীয় বাসন্দারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে সেতুগুলি র্নিাণ করায় কোনো কাজে আসছে না। এগুলি এতো উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে যে আমরা শতশত বালির বস্তা ফেলেও সেতুতে উঠতে পারি নাই।
স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল কাদের বলেন, এটি এলাকার লোকজনের সাথে তামাশা ছাড়া কিছু না। রাস্তার অভাবে এলাকার লোকজন নৌকা ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারে না। রাস্তা ঘাট না করে চকের মধ্যে সেতু বানিয়ে রেখেছে কার স্বার্থে?
দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাস রাজা বলেন, ধামশ্বর এলাকায় রাস্তা না করে তিনটি সেতু করা হয়। রাস্তা ছাড়া সেতু কোনো কাজেই আসছে না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর কাকনা থেকে ধামশ্বর মাঝার পর্যন্ত রাস্তার কাজ করেছি। তার পরেও সেতু ব্যবহারের উপযোগী হয়নি। চেষ্টা করছি, বাকি দুইটি রাস্তা নির্মাণ করে সেতু ব্যাবহারের আওতায় আনা হবে।
মানিকগঞ্জ স্থানীর সরকার অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল হক জানান, দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর এলাকায় দীর্ঘদিন আগে রাস্তাবিহীন তিনটি সেতু করা হয়েছিল। রাস্তা ছাড়া সেতু তিনটি কোন কাজেই আসেনি। ধামশ্বর এলাকার তিনটি রাস্তার কাজ করার প্রক্রিয়া চলছে। অনুমোদন পেলেই খুব দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা