২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:১৯

করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে উধাও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট

অনলাইন ডেস্ক

করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে উধাও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট

প্রকাশ কুমার দাশ।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাশ করোনা টেস্টের ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন। সম্প্রতি সিভিল সার্জনের তদন্ত রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিষয়টি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় খুলনা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব টেস্টের টাকা সংগ্রহ করে চালানের মাধ্যমে সিভিল সার্জন অফিসে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমারের। সেই মোতাবেক প্রকাশ প্রতিদিনই চালানের মাধ্যমে করোনা টেস্টের টাকা জমা দিয়ে আসছিল। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার সাথে টেস্টের সামঞ্জস্য না হওয়ায় সন্দেহ সৃষ্টি হয় সিভিল সার্জন অফিসের।

এ বিষয়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চিঠি দিয়ে প্রকাশের কাছে লিখিত হিসাব চাওয়া হয়। প্রকাশ কুমার বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এরপর চলতি বছরের ২২ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ১৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, যে পরিমাণ টাকা জমা হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা কম জমা দিয়েছে।

তদন্ত কমিটি মৌখিকভাবে তাকে জিজ্ঞাসা করলে প্রকাশ কুমার হিসাবে গড়মিল রয়েছে বলে স্বীকার করে। এরপর তাকে শোকজ করা হয় এবং লিখিতভাবে হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

গত বৃহস্পতিবার তার হিসাব ও টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিসে বসে হিসাব করার একপর্যায়ে প্রকাশ কুমার কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে দ্রুত চলে যান। এরপর থেকে তিনি আর অফিসে আসেন না। তাকে দ্বিতীয়বার শোকজ করে তার বাসার ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়। তার বাসায় লোক পাঠিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

সিভিল সার্জন জানান, আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সোমবার বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আইনজীবীকে দিয়ে মামলার এজাহার লেখানো হচ্ছে, লেখা শেষ হলে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হবে।

তিনি আরও জানান, প্রকাশ কুমার দাশ যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর