শেরপুরের নকলা গণপদ্দী পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শামছুর রহমান আবুল। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে আবুলকে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকে ওই ইউনিয়েনে সরকারি দলের অপর পাঁচ প্রার্থী একাট্টা হয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। কদিন থেকেই আবুলের বিরুদ্ধে চলছে প্রতিবাদ মিছিল মিটিং জনসভা ও সাংবাদিক সন্মেলন। বিদ্রোহী ওউ পাঁচ প্রার্থীর দাবি বর্তমান চেয়ারম্যান শামছুর রহমান আবুল জনবিচ্ছিন্ন। তিনি পরিষদে না গিয়ে বাড়ির সামনে ভ্রাম্যমাণ পরিষদ বানিয়ে কাজ কবেন।
তিনি এলাকায় জামাত-বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করে চলেছেন, টাকা ছাড়া কোন কাজ করেন না। পরিষদের গাছ কাটা, পেকুয়া বিলের টাকা আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।দুদকেও রয়েছে মামলা। তারা আরও অভিযোগ করেন, আবুল আওয়ামী বিরোধী পরিবারের সদস্য। শুধু তিনি ছাড়া তার বাড়ির আর কেউ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন না।
মনোনয়নপ্রত্যাশী পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতা আরও জানান, যদি নৌকা প্রতিকের প্রার্থী পরিবর্তন না করা হয়, তাহলে এখানে বিপুল ভোটে নৌকা ভরাডুবি হবে । দাবী না মানলে পাঁচ বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে একজনকে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড় করানো হবে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নকলা উপজেলার গণপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিশাল সমাবেশ ও সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সরকার দলীয় ওই প্রার্থীর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানানো হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গনপদ্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহজাহান আহাম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাশেদ, ইউনিয়ন আওয়ামী যুব লীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান রাসেল, গনপদ্দী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আমীর হামজা ও যুব নেতা সাইফুল ইসলাম সরকার লিটন প্রমুখ। বক্তব্যের সময়ে কেউ কেউ আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। উল্লেখিতরা সবাই ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি।
সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভার বক্তব্যকে প্রত্যাখান করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামছুর রহমান আবুল বলেন, এসব অপপ্রচার করে কোন লাভ হবে না। নৌকা নিয়ে এবারও আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো। মনোনয়ন না পেয়ে ওরা আবল তাবল বলছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ