২৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:০০

শেরপুরে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচারণা সভায় হামলা, আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

শেরপুরে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচারণা সভায় হামলা, আহত ১০

প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শেরপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচারণা সভায় হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত দশজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর পূর্বপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন- খানপুর গ্রামের দবির উদ্দিন তরফদারের ছেলে আনারুল ইসলাম (৬৫) ও একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০)। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাওয়ায় তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী ভুক্তভোগী আনারুল ইসলাম বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরিমল দত্তকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। আর দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা ও বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় নামেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু তার কর্মীদের নিয়ে আনারস প্রতীকের পক্ষে খানপুর পূর্বপাড়া হাছেন আলীর বসতবাড়ির উঠানে প্রচারণা করছিলেন। এসময় গিয়াস উদ্দিন ও ফয়সালের নেতৃত্বে  নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়ে প্রচারণা সভা ভুণ্ডল করে দেয়। সেইসঙ্গে তাদের বেধড়ক মারপিট করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই অতর্কিতভাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়ে তার প্রচারণা সভা ভুণ্ডল করে দিয়েছে। তার কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী পরিমল দত্ত বলেন, এই ধরণের কোনো ঘটনায় তার কর্মী-সমর্থকরা জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। এটি সাজানো নাটক। এছাড়া তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একাট্টা হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সেইসঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। যাতে করে আমার নির্বাচনী কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করা যায়। 

বগুড়ার শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর