মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মটমুড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হাশেম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহমেদ ও ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেনের পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হাশেম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহমেদ পাল্টাপাল্টি অভিযোগের তীর ছুড়ে দিয়েছে। গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গাংনী থানায় ৩১ জনসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহমেদ অভিযোগ তুলে বলেন, আবুল হাশেম নিশ্চিত পরাজয় জেনে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে। রাতের আঁধারে নৌকা প্রার্থী আবুল হোসেন দেশীয় অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে এসে আমার ও মেম্বার প্রার্থী মোতালেব হোসেনের পোস্টার ছিড়েছে। আমার কর্মীদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। এসময় নৌকা প্রার্থী আবুল হোসেনের মিলেটারি মেম্বারকে আমার লোকজন আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আমি তার এমন কৃতকর্মের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সেই সাথে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হাশেম অভিযোগ তুলে বলেন, শুক্রবার রাত্রে পর আমরা প্রায় ৭০টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রো নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করি। রাত ১১ টার দিকে ছাতিয়ান বাজারে পৌঁছালে ওঁৎ পেতে থাকা সোহেলের ক্যাডার বাহিনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় পেছন থেকে হামলা করে। এ সময় আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আবুল হোসেন মিলিটারি ও ভাতিজা গালিবকে আটকে রেখে মারধর করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সেই সাথে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেছি। আটককৃতদের উদ্ধার করে তাদের নিকট আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করেছি। আমার জানা মতে তারা এখন গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা