ঢাকার ধামরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিদিন হামলা, সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এক প্রার্থীর লোকজন অপর প্রার্থীর পোস্টার ও নির্বাচন ক্যাম্প ভাংচুর করছে। এতে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় নৌকার কর্মী নিহত সিদানের খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে সোমবার গভীর রাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম মাসুদ রানার ওপর হামলা চালিয়েছে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান ও তার কর্মী সমর্থকরা। এতে মাসুদ রানার গাড়িচালকসহ আহত হয়েছে কয়েকজন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছেন।
জানা যায়, ধামরাইয়ের ১৫টি ইউনিয়নে আগামী ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে প্রচার প্রচারণা বন্ধ হবে প্রার্থীদের। এ নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিদিন ঘটছে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা। এ পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রার্থীসহ আহত হয়েছে প্রায় দেড়শতাধিক কর্মী সমর্থক। ভাংচুর করা হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচনী ক্যাম্প। যাদবপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী সিদান নিহত হয়েছে। মামলা হয়েছে কয়েকটি। সব মিলিয়ে চরম আতঙ্ক আর উত্তেজনায় দিন কাটছে প্রার্থী কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের। সোমবার রাতে বাইশাকান্দার চেয়ারম্যান প্রার্থীও গাড়ি ভাংচুর ও হামলা করা হয়েছে তার ওপর।
ধামরাই থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ওসি আতিকুর রহমান জানান, ‘নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নেই মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।’
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা