সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুর্নিমাগাতী ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আল-আমিন সরকারের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের পুকুরপাড় এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ ওঠেছে, নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম তপন ও পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে ৫০/৬০জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল (৩৫) ও সাকিলকে (২৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও রনি (২৩), মিলন (২২) লতা খাতুনসহ (৪৫) ৬ জনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আল আমিন সরকার জানান, দুপুরে তার কর্মীরা নির্বাচনী ক্যাম্পে বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য সমবেত হয়েছিল। এসময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম তপন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে ৩০/৪০টি মোটরসাইকেল নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় অতর্কিত ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও সমর্থকদের মারধর করে। এসময় তারা নির্বাচনী ক্যাম্পের ২০/২৫টি চেয়ার ভাঙচুরর করে। সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন নারী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১০জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নির্বাচনের শুরু থেকেই নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। তারা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল হাসান বলেন, হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি।
উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক সাহেদ গনি জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আল-আমিন সরকারের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার চালিয়ে চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল