আগামী ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আপন দুই ভাই ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ থেকে দুই ভাই নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। তবে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি, এখন সর্বত্র আলোচনা চলছে।
জানা গেছে, এর আগে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বড় ভাই মোরশেদুল বারী। এবারও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। ছোট ভাই মজনুর রহমান মজনু ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনিও নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। একই ইউনিয়নে একই পদে একই পরিবারের দুজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন আরো দুইজন। তারা হলেন আ’লীগ নেতা তীর্থ সলিল রুদ্র ও আবদুল্লাহেল বাকী।
জানা যায়, দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক কোন্দল চলছে। ফলে কেউই কাউকে ছাড় দিবেনা। একই পরিবার থেকে দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিপাকে পড়েছেন পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশীরা। এদিকে ভাই-ভাইয়ের লড়াই ভোটারদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। দুই ভাইয়ের কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার কমতি নেই ভোটারদের মধ্যে। শুধু দলীয় বিবেচনায় নয়, ব্যক্তি পরিচয়ে প্রার্থীই ভোট পাবেন বলে তারা জানান।
বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল বারী বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। এবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় প্রতীক দিবেন। বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। সুখে-দুঃখে এলাকাবাসী সব সময় আমাকে কাছে পেয়েছে। আমার বিশ্বাস, গতবারের মতো এ বছরও আমি জয়লাভ করব।
একই পদে আপন দুই ভাই প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ছোট ভাই মজনুর রহমান মজনু বলেন, আমরা একই পরিবারের। আমার বাবা মরহুম জালাল উদ্দিন মন্ডলও চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। এসময় তিনি বিভিন্ন দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। এতে করে বাবার ঐতিহ্য নষ্ট করে ফেলে। যার কারণে আমি এবার বাবার ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেয়ারম্যান পদে ভোট করছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ