আগামী ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রচার প্রচারণায় ততই উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকেই প্রার্থীরা তাদের দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
আর ভোটাররা বলছেন, যারা উন্নয়ন করবে তাদেরকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হবে। ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৪ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মোখলেসুর রহমান, স্বতন্ত্র নারিকেল প্রতীকের বিএনপি নেতা মোঃ নজরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মোবাইল প্রতীকের সামিউল হক লিটন ও স্বতন্ত্র জগ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক শিবির নেতা মোঃ মোস্তাফিজুর রহামন মুুকল। এছাড়া ১৫টি ওয়ার্ডে ২১ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ৮৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৭ জন। এদের মধ্যে ৭৪ হাজার ৬৫ জন নারী ও ৭১ হাজার ৪৩২ জন পুরুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পৌরসভা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। সকাল থেকেই প্রার্থীরা তাদের দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। আর ভোটাররা বলছেন, যিনি যোগ্য ও পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন করবেন তাকেই ভোট দিবেন।এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলাকার উন্নয়ন এবং মানুষের সেবা করার জন্য পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। সবার দোয়া, ভালবাসা আর সার্বিক সহযোগিতা সেই সাথে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে শতভাগ আশাবাদী তিনি। অন্যদিকে নারিকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা মোঃ নজরুল ইসলামনও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন এবং পৌরবাসীর মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোবাইল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন প্রতিটি এলাকায় ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
তবে জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক শিবির নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের প্রচারণা তেমন না থাকলেও তার কর্মী বাহিনী গোপনে তাদের সমমনাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম
