কক্সবাজারের উখিয়ায় সদ্য অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা করা দুই প্রার্থীর মধ্যে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্টকে কেন্দ্র করে ঘেরাবেড়ায় অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য ও দুই পক্ষের অন্তত: ৮ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া জামে মসজিদে জুমার নামাজের খুতবা চলাকালীন সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মনির হোসেনের ছোট ভাই ওয়াহিদুর রহমান সোহাগ, নুর আলম, মো. আব্দুল্লাহ, ফাতেমা আক্তার, সালাউদ্দিনসহ কয়েকজন। অপরদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুরুল আমিন চৌধুরীর পক্ষে আরাফাত চৌধুরী, মোস্তাক আহমেদ, সোহেল চৌধুরী, মাহবুব আহমেদ শাকিল নামের লোকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীর ছেলে শাহ আমিন জানিয়েছেন, নির্বাচন পরবর্তী আমরা চুপচাপ ছিলাম। কিন্তু মনির মেম্বারের আত্মীয় আব্দুল্লাহ ফেসবুকে প্রতিনিয়ত উসকানিমূলক পোস্ট দিচ্ছে। এর কারণ জানতে চাইলে আজকের এই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনিরুল ইসলামের ছোট ভাই ওয়াহিদুর রহমান সোহাগ বলেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে আমাদের লোকজনকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এসময় নুরুল আমিন চৌধুরীর সমর্থিত বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ সঞ্জুর মোর্শেদ জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চশমা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা করেছেন বিএনপি ঘরানার গত দুই বারের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী। অপরদিকে একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার মনির হোসেন এবার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা করেন। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে নির্বাচনের আগে ও পরে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর