কক্সবাজারের রামু থেকে তিনদিন আগে অপহৃত চার স্কুলছাত্রের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে টেকনাফের শালবন এলাকা থেকে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. তারিকুল ইসলাম। তারা হলেন-জাহিদুল ইসলাম মামুন ও মিজানুর রহমান নয়ন।
এর আগে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে একই পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ কায়সার নামে নিখোঁজ আরেক ছাত্রকে উদ্ধার করে র্যাব। অপহৃত অপরজনের সন্ধানে পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অবহৃত স্কুলছাত্ররা হলো-রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মাঙ্গালা পাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ কায়সার (১৪), একই এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে মিজানুর রহমান নয়ন (১৪), আব্দুস সালামের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (১৫) ও ফরিদুল আলমের ছেলে মিজানুর রহমান (১৪)। তাদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে।
রামু থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় চার স্কুলছাত্রের। সেই সুবাধে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চারস্কুল ছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান।
মূলত ইব্রাহীম ও জাহাঙ্গীর দুইজনই ছিলেন রোহিঙ্গা। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। অন্যথায়, তাদের লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই