কক্সবাজারের রামু খুনিয়াপালং থেকে ৪ স্কুলছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ। অপহরণের পর বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে টেকনাফের নয়াপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে অপহৃত ৪ স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-নজির আহম্মেদের ছেলে নুর সালাম (৫০), নুর সালামের মেয়ে রনজন বিবি (১৩) ও আবুল কাদেরের ছেলে সাদ্দাম মিয়া।
অপহৃত স্কুলছাত্ররা হলেন-রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মাঙ্গালা পাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ কায়সার (১৪), একই এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে মিজানুর রহমান নয়ন (১৪), আব্দুস সালামের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (১৫) ও ফরিদুল আলমের ছেলে মিজানুর রহমান (১৪)। তাদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি এবং বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পের কমান্ডার শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) ও জাদিমুরা এপিবিএন ক্যাম্পের কমান্ডার কামরুল হাসান জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেন্টমার্টিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে চারজন স্কুলছাত্রকে কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের হিমছড়ি পেঁচারদ্বীপ থেকে অপহরণ করে রোহিঙ্গারা। গত মঙ্গলবার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ মাঙ্গালাপাড়া বাতিঘর কটেজ এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। পরে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে একটি রোহিঙ্গা অপহরণ চক্র।
রামু থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় চার স্কুলছাত্রের। সেই সুবাধে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চারস্কুল ছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান।
মূলত ইব্রাহীম ও জাহাঙ্গীর দুইজনই ছিলেন রোহিঙ্গা। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। অন্যথায়, তাদের লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই