বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোরশেদুল বারীর ছোট ভাইকে অপহরণের চেষ্টাকালে জনগণ ৬ জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের পন্ডিতপুকুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো বগুড়া শহরের চেলোপাড়ার আকাশ (২৫), সোহাগ (১৮), শাহিনুর (৪০), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাতিজা নন্দীগ্রাম উপজেলার পাইকড় কুড়ি গ্রামের কাব্য (২০), তার বড় ভাই শুভ (২৮) ও বৃকুঞ্চি গ্রামের হামিদুল (৪৫)।
জানা গেছে, ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মাহফুজার রহমান মাফু (৪০) শুক্রবার স্থানীয় পন্ডিতপুকুর বাজারে টাইগার ক্লাবের সামনে বসে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১০-১২ জন যুবক সেখানে ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মাহফুজারের বড় ভাই মোরশেদুল বারীকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে ওই যুবকরা মাহফুজার রহমানকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাজারে লোকজন অপহরনের বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং ৬ জনকে আটক করে। পরে তাদেরকে গনধোলাই দেয়া শুরু করলে পুলিশ খবর পেয়ে তাদেরকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
নৌকা মার্কার প্রার্থী মোরশেদুল বারী অভিযোগ করে বলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহেল বাকী কয়েকদিন যাবৎ আমাকে হত্যার হুমকী দিয়ে আসছিল। তারই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে অপহরন করতে আসে। আমাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরনের চেষ্টা করে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, আ’লীগ প্রার্থীকে বা তার ভাইকে অপরণ চেষ্টা বা হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। বরং তারাই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছেন। আমার ভাতিজাদের পথরোধ করে মারপিট করা হয়েছে। অপহরণ চেষ্টার ঘটনা তাদের সাজানো নাটক।
নন্দীগ্রাম উপজেলার কুমিড়া পন্ডিত পুকুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হরিদাস মন্ডল বলেন, স্থানীয় জনগণের হাতে আটক ৬ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ