শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চাঞ্চল্যকর বাবুল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মফিজুল ইসলাম কালুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন শেরপুরের আদালত। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানান, নালিতাবাড়ী পৌরশহরের গড়কান্দা মহল্লার আমির হোসেনের সন্তান মফিজুল ইসলাম কালুর সাথে বিয়ে হয় শাহিদা বেগমের। দীর্ঘ ১৩ বছর ঘর-সংসার এবং দাম্পত্য জীবনে ২ জন সন্তান হয়। এরপর সংসারে বনিবনা না হওয়ায় মফিজুল ইসলাম কালুকে তালাক দিয়ে শাহিদা বেগম বিয়ে করেন উপজেলার উত্তর কোন্নগর এলাকার আরমান আলীর ছেলে বাবুল মিয়া(৩৫)কে। বিয়ের পর শাহিদা স্বামী বাবুলকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী খুজিউরা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে চলে এসে বসবাস করছিলেন। তাদের বিয়ের একমাসের মধ্যে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে বাবুল ও শাহিদা প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে ওঁৎ পেতে থাকা মফিজুল ছুরি দিয়ে বাবুলকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওইসময় শাহিদার চিৎকারে এলাকার লোকজন কালুকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তদন্ত শেষে একই বছরের ১ মে একমাত্র আসামি মফিজুল ইসলাম কালুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই আবুল মোকাররম নুরউদ্দিন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ বুধবার আদালত মফিজুল ইসলাম কালুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম