কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে (৮ মাস) শিশু সন্তান ও স্বামী সোহেল রানাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গৃহবধূকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূর নাম শারমিন খাতুন। শনিবার সন্ধ্যার দিকে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর মধ্যপাড়া শালুর মোড় নামক এলাকায় স্বামী সোহেল রানার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর রাতে এলাকাবাসীরা ওই গৃহবধূকে আটক করে রৌমারী থানায় সোপর্দ করে। অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাউনিয়ার চর মধ্যপাড়া গ্রামের সাহেব মিয়ার ছেলে সোহেল রানা (২৬) এর সাথে শৌলমারী ইউনিয়নের বাউসমারী গ্রামের সাহাজুদ্দীনের মেয়ে শারমিন খাতুন (২০) এর গত দুই বছর আগে বিয়ে হয়। গত কয়েকদিন থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। এরই জের ধরে শনিবার সন্ধ্যার দিকে গৃহবধূ শারমিন তার সন্তান শান্তকে(৮মাস) হত্যার উদেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করতে থাকে। পরে তার স্বামী সোহেল রানা সন্তানকে বাচাঁতে গেলে তাকেও এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এতে বাবা সোহেল রানা ও সন্তান শান্তকে এলাকাবাসীরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের দুজনকে চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ বিষয়ে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, গৃহবধূ শারমিন খাতুনের নামে মামলা দিয়ে রবিবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম