বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই প্রভাষক আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের জাকিরুল ইসলাম। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এই কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জানা যায়, ভুক্তভোগী গাবতলী বাগবাড়ি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগে ২য় বর্ষের ছাত্রী। শনিবার কলেজ অডিটোরিয়ামের স্নাতক প্রথম বর্ষে পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ইম্প্রুভ পরীক্ষা চলছিল। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর প্রথম বর্ষের একটি সাবজেক্টে ফলাফল খারাপ হওয়ায় তিনি আবারও পরীক্ষাটি দিতে আসেন। কলেজের অডিটোরিয়ামে পরীক্ষার চলাকালীন দুপুর ১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে অভিযুক্ত শিক্ষক নানাভাবে শ্লীলতাহানি করেন। মেয়েটি পরীক্ষা চলার জন্য তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিবাদ না করে বাড়িতে চলে যান। বাড়িতে যেয়ে তার বাবাকে সব ঘটনা জানালে রবিবার তারা কলেজ অধ্যক্ষের কাছে আসেন।
পরে দুপুর দেড়টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সরকারি আজিজুল হক কলেজ অধ্যক্ষ তার নিজ কার্যালয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে মুখোমুখি করেন। ওই সময় কলেজের উচ্চপদস্থ শিক্ষকদের জেরার মুখে অভিযুক্ত প্রভাষক জাকিরুল ইসলাম শ্লীলতাহানির কথা স্বীকার করেন।
সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী জানান, মেয়েটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল কাদেরকে। এই কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
অভিযোগকারী মেয়ের বাবা বলেন, আমি আমার মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার চাই। একজন শিক্ষক এতবড় ন্যক্কারজনক কাজ করতে পারেন অবিশ্বাস্য। আমার মেয়ের নিরাপত্তার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শঙ্কিত।
বিডি প্রতিদিন/এমআই