নাটোর পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণাকালে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুনের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ভবানীগঞ্জ এলাকায় নির্বাচনী প্রচরণাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মেয়র প্রার্থীর ৮ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ এমদাদুল হক আল মামুন।
আহতরা হলেন, প্রার্থী শেখ এমদাদুল হক আল মামুন (৬০) , শেখ পিয়াল (২৬), মুফতি হাফিজ (৩৫),শেখ মিল্টন (২৬),কালু মিয়া (৩২),জাঙ্গাঙ্গীর (২৮), জুয়েল (৩০) ও মোয়াজ্জেম (৩২)। আহতদের নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, রবিবার সকালে তিনি তার সমর্থকদের নিয়ে তার নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। চৌকির পাড় শহরের মাষ্টারপাড়া এলাকায় প্রচারণা চালাতে গেলে সেখানে প্রথমে বাধা দেয় নৌকার সমর্থক সন্ত্রাসীরা। এসময় সেখানকার যুবদল কর্মী শাওন দাসের (৩২) বাসায় ঢুকে তাকে পেটাতে শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় শাওনকে বাঁচাতে তার মা রিনা দাস (৬৫) এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে সন্ত্রাসীরা এবং তাদের বাসা ভাঙচুর করা হয়। সেখান থেকে শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে পৌঁছালে যুবলীগ নেতা ইদ্রিস বাবু ও হাসানের নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে তার পথরোধ করে তাকে প্রচারণা চালাতে বাধা দেয়। এ সময় তার পোষ্টার লাগানো কর্মীদের উপরও তারা হামলা চালিয়ে আহত করে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন আমিনের নিকট ভিডিও ক্যামেরা কেড়ে নেয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে তিনি সেখান থেকে ফিরে আসেন।
পোষ্টার লাগানো কর্মীরা জানায়, তারা পোষ্টার লাগানোর সময় তাদের বাধা দেওয়া হয়। তারা পোষ্টার লাগানো বন্ধ করার পরেও তাদের মারপিট করে আহত করে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ঘটনাটি স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তাকে ফোনে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও তার সমর্থকদের উপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল