সাভারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ছয়টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে মোট ৬২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ইটভাটাগুলোর বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাভারে বনগাঁও ইউনিয়নে ও সাভার পৌর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ।
অভিযানে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। পরিবেশ অধিদফতর জানায়, রাজধানীর পাশে সাভারে বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় দীর্ঘদিন ধরে ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকাসহ নানা অভিযোগে আজ এসব ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় একজনকে আটক করা হয়। পরে জরিমানা আদায় হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানায়, সাভার পৌর এলাকার নামাগেন্ডা মহল্লায় দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পরিবেশ দূষণ করে ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটা তৈরি করে ইট প্রস্তুত করে আসছিলেন। এসময় অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার অভিযোগে মেসার্স কর্ণফুলী ব্রিকসকে নগদ পাঁচ লাখ, মেসার্স এখলাছ ব্রিকসকে বিশ লাখ, মেসার্স মুধুমতি ব্রিকসকে পাঁচ লাখ ও মেসার্স ফিরোজ ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা, বনগাঁও ইউনিয়নের সাদাপুর এলাকার মেসার্স মাহিন ব্রিকসকে ২০ লাখ টাকা ও মেসার্স রিপন ব্রিকসকে ৬ লাখসহ সর্বমোট ৬২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার চারপাশের বিভিন্ন জেলার অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে আজ সাভারে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগে ইটভাটার আংশিক ভেঙে দিয়ে বেশি টাকা জরিমানা করা হতো। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কম জরিমানা করে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে ৬টি ইটভাটা ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এসময় অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদার, এডি মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব, এডি হায়াত মাহমুদ রকিব, হিসাব রক্ষক উজ্জল বড়ুয়াসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক