নাটোরের গুরুদাসপুরে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বখাটের অত্যাচারে স্কুল ও কোচিংয়ে যেতে পারছিলেন না। পরে বাধ্য হয়ে ওই স্কুলছাত্রী গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেনের কাছে আসেন।
স্কুলছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ইউএনও। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে।
ভুক্তভোগী মেয়ে জানান, তিনি একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাসা বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে। বেশ কিছুদিন যাবৎ ওই এলাকার একটি ছেলে তাকে স্কুলে ও কোচিংয়ে যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো। তার পরিবার থেকে ছেলের পরিবারের অনেকের কাছে বিচার-সালিশ করার পরেও তাকে উত্যক্ত করতো। এ কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এসে ওই ছেলের নামে তিনি অভিযোগ করেন।
ইউএনও মো. তমাল হোসেন জানান, স্কুলছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ওই এলাকায় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের ডেকে বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে হাজির করা হয়। অভিযুক্ত ছেলের বয়স কম হওয়ার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী সময়ে যেন ওই মেয়েকে আর বিরক্ত না করে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
